প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের ব্যর্থতার দায় নিতে চায় না সরকারের চার উপদেষ্টা

লেখক: নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১ দিন আগে

নিউজ ডেস্ক :: বাংলাদেশের রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপটে এক অদ্ভুত নৈঃশব্দ্যের পর্দা নেমে এসেছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সরকারে। একদিকে প্রশাসনিক অস্থিরতা, অন্যদিকে অর্থনৈতিক জটিলতা—সবকিছুর কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে এখন প্রশ্ন একটাই: এই ব্যর্থতার দায় কে নেবে?

সরকারের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা যায়, চারজন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা ইতিমধ্যেই নিজেদের দায় এড়াতে সচেষ্ট। তারা বলছেন—“নীতিনির্ধারণে আমাদের মতামত নেওয়া হয় না, আমরা শুধু দর্শক।” অর্থাৎ, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে যদি ব্যর্থতা আসে, তার দায়ভার তারা নিতে রাজি নন।
এই অবস্থান যেন সরকারের ভেতরে আস্থাহীনতার এক স্পষ্ট দলিল।

ড. ইউনুস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রশাসনিক কাঠামোতে পরীক্ষানিরীক্ষার নামে চলছে একধরনের ‘নীতি বিভ্রান্তি’। বাস্তবতাবিবর্জিত নির্দেশনা, অদক্ষ পরামর্শক দল এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা—সব মিলিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্র এখন যেন স্থবির। জনগণ প্রতিদিন নতুন প্রতিশ্রুতি শুনছে, কিন্তু পরিবর্তনের কোনো বাস্তব প্রতিফলন নেই।

অর্থনীতি সংকুচিত, বিনিয়োগ স্থবির, কৃষক ক্ষুব্ধ, শ্রমজীবীরা রাস্তায়—এই অবস্থায় উপদেষ্টাদের মধ্যকার বিভক্তি যেন সরকারের মেরুদণ্ড আরও দুর্বল করে তুলছে। কেউ কেউ নীরবে নিজের দায়িত্ব থেকে পিছু হটছেন, কেউ আবার বিদেশ সফরে ব্যস্ত; অথচ দেশের মাটিতে জনঅসন্তোষ জ্বলে উঠছে আগুনের মতো।

বিশ্লেষকরা বলছেন—এই উপদেষ্টারা যদি সত্যিই নীতিনির্ধারণে প্রভাবশালী না হন, তাহলে তাদের অবস্থান কেবল “আনুষ্ঠানিক মুখোশ” মাত্র। আবার যদি তাঁরা প্রভাবশালী হন, তবে বর্তমান ব্যর্থতা থেকে তাঁরা মুক্ত নন। যেভাবেই দেখা হোক না কেন, এই সংকটের মূলে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা নিজেই—যার নেতৃত্ব এখন প্রশ্নবিদ্ধ।

জনগণের আস্থা হারানো সরকারের পরিণতি ইতিহাস জানে। তাই আজ প্রশ্ন উঠছে—ড. ইউনুসের উপদেষ্টারা কি ইতিহাসের সাক্ষী হবেন, না ইতিহাসের দোষী?
একটি ব্যর্থতার সরকারের ভেতর থেকে যখন আঙুল তুলছে নিজের লোকেরাই, তখন স্পষ্ট বোঝা যায়—“অন্তর্ঘাতের রাজনীতি” ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশের মানুষ আর প্রতিশ্রুতির গল্প শুনতে চায় না; তারা চায় বাস্তব পরিবর্তন।