শেখ হাসিনার উন্নয়নমিশন ধ্বংসের পথে, অবৈধ সরকার মানুষের জীবনকে বিপন্ন করছে

লেখক: নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১ দিন আগে

নিউজ ডেস্ক ;: ঘামের বিনিময়ে গড়া সেই বাংলাদেশ আজ হুমকির অগ্নিতে জ্বলছে। শেখ হাসিনার হাত ধরেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, জনপদ উন্নয়ন সবই মানুষের মর্যাদা, জীবনমান ও স্বাধীনতার প্রতীক ছিল। শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী তোমাদের পরিশ্রমে জন্মেছিল সেই স্বপ্নময় দেশ, যা আশা করেছিল সমৃদ্ধি, ন্যায় ও আলো।

অবৈধ ইউনুস সরকারের ছায়ায় সেই সোনালি স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে ধ্বংসপ্রাপ্ত। খাদ্য নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ, নিরাপত্তাহীনতা মানুষের কণ্ঠস্বর দমন করছে, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল, অবকাঠামোগত প্রকল্প স্থবির বা লোপাট। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, কর্মসংস্থানের সংকট, জঙ্গী উৎপাদন সবই মানুষকে আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার দোলায় দুলিয়ে দিচ্ছে।

শেখ হাসিনার সময়ে গড়ে তোলা নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, সামাজিক নিরাপত্তা—আজ ক্ষয়প্রাপ্ত। জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ণ, ন্যায়বিচার প্রশ্নবিদ্ধ। রাজনৈতিক প্রতিশোধ, দমন, দুর্নীতি এসবই সাধারণ মানুষকে ভয়, হতাশা এবং অস্থিরতার অন্ধকারে আটকে দিয়েছে।

ভয়, দমন, নীরবতা যথেষ্ট নয়। ইতিহাসের সাক্ষ্য বলে যখন মানুষ সজাগ, জাগ্রত এবং একত্রিত হয়, তখনই অন্যায়, নিপীড়ন ও দুর্নীতি স্তব্ধ হয়। কিন্তু উদাসীনতা ও অবহেলার ছায়া পড়লে ক্ষমতার অপব্যবহার অবারিত হয়। তাই প্রয়োজন চেতনার জোয়ার, মানবিকতার দীপ্তি, যা প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে আলো জ্বালাতে পারে।

দেখো, ১৩ নভেম্বরের লকডাউন কেবল রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। এটি মানুষের হৃদয়ের প্রতিফলন, মর্যাদা ও ন্যায়ের ডাক। যদি ন্যায় হারায়, ক্ষতি হবে শুধু অর্থনৈতিক নয় ক্ষুণ্ণ হবে স্বাধীনতা, মর্যাদা এবং বিশ্বাস। তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ, সচেতনতা, মানবিক প্রতিক্রিয়া এসবই দেশের জীবন ও স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারে।

আজ দেশের রাস্তায় জাগ্রত চেতনা আবশ্যক। চুপচাপ নয়, কণ্ঠে গর্জন, হৃদয়ে আগুন। শিক্ষকের ক্লান্ত পা, কৃষকের কঠোর পরিশ্রম, শ্রমিকের ঘাম,এই শক্তিকে মর্যাদা দিতে হবে। মানুষের আশা, স্বপ্ন, সংগ্রাম সবকে পুনর্জীবিত করতে হবে।

যখন সচেতন নাগরিক, গণমাধ্যম ও সামাজিক আন্দোলন একত্রিত হয়, তখনই অবৈধ শাসন, দমন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে অটল প্রতিরোধ তৈরি হয়। মানুষের শক্তি, সচেতনতা, একতা এগুলোই দেশের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে তোলা উন্নয়নমুখী সমাজ আবার জাগ্রত হবে, যদি আমরা বিদ্রোহী চেতনার আলো জ্বালাই।

আজই সময় ভয় নয়, চেতনার আলো দমন নয়, ন্যায়ের ডাক। মানুষের হৃদয়ে বিদ্রোহের আগুন জ্বালাতে হবে। দেশের প্রতিটি নাগরিকের মনে উদ্দীপ্ত করতে হবে সেই চেতনা, যা শুধু বর্তমান প্রজন্মকে নয়, আগামী প্রজন্মকেও নিরাপদ, ন্যায়নিষ্ঠ, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেবে।

বিদ্রোহী চেতনা, জাগ্রত মন, অবিচল ন্যায়ের ডাক এই তিনিই দেশের ভবিষ্যৎ। শেখ হাসিনার উন্নয়নমিশন ধ্বংসের পথে হলেও মানুষের সচেতন চেতনা যদি প্রজ্বলিত হয়, তা ভেঙে দিতে পারবে অবৈধ শাসনের শিকল, এবং আবারো এই দেশকে আলো, আশা ও মর্যাদায় ভরে তুলবে।