সেনাবাহিনীর বিতর্কিত কার্যক্রম, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি মারাত্মক হুমকি

লেখক: নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১ মাস আগে

নিউজ ডেস্ক :: বর্তমানে ড. ইউনুস সেনাবাহিনীর ছত্রচ্ছায়ায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছেন। তার মদদপুষ্ট জঙ্গীরা স্বাধীনতা বিরোধী কার্যক্রমে সক্রিয়, আর সেনাবাহিনী তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে দমন করাই এখন সেনাবাহিনীর মূল ভূমিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিনিয়ত হরণ হচ্ছে, নিরপরাধ নাগরিকরা হয়রানির শিকার হচ্ছে।

আজ সেনাবাহিনীর ভেতরে দিকভ্রান্ত কিছু কর্মকর্তা এমন সব কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন, যা সরাসরি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের সমান। নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন আইএস, হরকাতুল জিহাদ, পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক কারবারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। থানায় অস্ত্র লোপাট, পুলিশ হত্যা, ছিনতাই ও দখলদারিত্ব—এসবের সঙ্গে সেনাবাহিনীর একটি অংশের সরাসরি যোগসূত্রের অভিযোগ উঠেছে।

সবচেয়ে ভয়াবহ গোপালগঞ্জ নিরীহ মানুষকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং অন্তত ৫০ জনকে গুম করার অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এ ঘটনা শুধু মানবাধিকারের জঘন্য লঙ্ঘনই নয়, বরং দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য এক অশুভ সংকেত।

অন্যদিকে যারা দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে একত্রিত করছে, তাদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও দমন করা হচ্ছে। সেনা সদস্যরা স্বাধীনতা রক্ষার শপথ নিয়ে চাকরিতে যোগ দিলেও সেই শপথ ভঙ্গ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। নিরপরাধ মানুষকে আটক করা, গণআন্দোলন দমন করা এখন সেনা বাহিনীর প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আজকের সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকাণ্ড পাকিস্তানি সেনাদের ভয়াল ছায়াকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। জঙ্গী মদদদাতা, মৌলবাদী সহযোগী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে গোপন আঁতাতের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ভয়ঙ্করভাবে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। “দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী” তকমা আজ প্রশ্নবিদ্ধ।

এই অবস্থার অবসান ঘটানো এখন সময়ের দাবি। সেনাবাহিনীর প্রকৃত দেশপ্রেমিক সদস্যদের এগিয়ে আসতে হবে, ভেতরের কলঙ্কিত ও রাষ্ট্রবিরোধী প্রবণতাগুলো নির্মূল করতে হবে। অন্যথায় এই সেনাবাহিনী কেবল স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য নয়, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের জন্যও সবচেয়ে বড় হুমকিতে পরিণত হবে।